ডাইনি অপবাদ দিয়ে তিন নারীকে পিটিয়ে পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। ভারতের ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
কয়েকদিন আগে গ্রামের এক কিশোরকে সাপে কাটা থেকে ঘটনার সূত্রপাত।সাপের কামড়ে ওই কিশোরের মৃত্যু হলে এক ওঝাকে ডেকে আনা হয়েছিল। তিনিই এসে ঘোষণা করেন, গ্রামে ‘ডাইনি’ আছে। তিনি গ্রামবাসীদের বলেন, যে বাড়িতে ডাইনি আছে তার বাড়িতে দু’এক দিনের মধ্যেই কোনো একটি ঘটনা ঘটবে।
কাকতালীয়ভাবে ওই ঘটনার পরের দিনই গ্রামের আরেক তরুণকে সাপে কামড়ায়। যা দেখে ভয় পেয়ে যান গ্রামবাসীরা। তারা ওই তরুণের মা রাইলু দেবীকে ডাইনি সন্দেহে আক্রমণ করেন। এর সাথে আর কেউ যুক্ত কি না তাও জানাতে বলেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাইলুই গ্রামের আরও দুই নারী ধোলি দেবী এবং আলোমানি দেবীর নাম করেন। তারপরই তিন জনকে ‘শাস্তি’ দিতে পাহাড়ে নিয়ে যান গ্রামবাসী। তিনজনকেই অত্যাচার করে ফেলে দেওয়া হয় পাহাড় থেকে।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে প্রায় এক হাজার মানুষকে ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী এর ৯০ শতাংশই নারী।